সজারু (Hystrix indica)

সজারু-এর ইংরজেি নাম Indian Crested Porcupine এবং বৈজ্ঞানিক নাম Hystrix indica । এরা দেশী সজারু বা ভারতীয় সজারু নামে পরিচিত। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পশ্চিম ও মধ্য এশিয়াসহ আফগানিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, চীন এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে এজাতীয় সজারুকে দেখতে পাওয়া যায়।

পাহাড়-পর্বত, উষ্ণমণ্ডলীয় এবং নাতিষীতোষ্ণমণ্ডলীয় এলাকার সমতলভূমি ও সংশ্লিষ্ট বনাঞ্চলে দেশী সজারুকে দেখা যায়।দেশী সজারুর দেহ ৩ ফুট বা তদূর্ধ্ব হতে পারে এবং দৈহিক ওজন ১৪.৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। দেহের বহিরাবরণের পশমগুলো মোটা। এতে কয়েক স্তরবিশিষ্ট শক্তিশালী, ধারালো ও তীক্ষ্ণ ধরনের কাঁটা রয়েছে। দীর্ঘতম কাঁটাটি কাঁধের দিকে জন্মায় যা প্রাণীর দেহের এক-তৃতীয়াংশ হয়। এর লেজও ছোট কাঁটার আবরণে পূর্ণ যা আত্মরক্ষার্থে ব্যবহার করে ও বিচ্ছুরণ ঘটায়। এর বিস্তৃত পা এবং লম্বা থাবা রয়েছে। যখন দেশী সজারু আক্রমণের শিকার হয় তখন তার দেহস্থিত কাঁটাগুলো সক্রিয় হয় ও লেজ থেকে খসে গিয়ে শিকারের দিকে বিচ্ছুরিত করে শিকারীকে দূরে সরাতে বাধ্য করে। যদি কোন কারণে এই বিষাক্ত কাঁটা শিকারীর গায়ে বিদ্ধ হয়, তাহলে মৃত্যু কিংবা গুরুতর আহত হবার ঘটনা ঘটতে পারে।

স্ত্রী জাতীয় দেশী সজারু ২৫ মাস বয়সে যৌবনপ্রাপ্ত হয়ে থাকে এবং পুরুষ প্রায় ২৯ মাস বয়সে যৌবন প্রাপ্ত হয়ে থাকে। নিশাচর প্রাণী হিসেবে দেশী সজারু মাটির নীচে আশ্রয় নেয়। স্ত্রী সজারুর র্গভধারন সময়কাল প্রায় ২১০ দিন। বছরে এরা ১ থকেে র্সবোচ্চ ৪টি শাবক প্রসব করে।এটি পাতা, ঘাস, ছোট ছোট গাছপালা খেয়ে জীবনধারন করে। গায়ের রঙ কালো প্রকৃতির হয়। মাটিতে গর্ত খুঁড়ে বাসস্থানের উপযোগী পরিবেশ গড়ে। এদের জীবনকালের সঠিক সময়কাল পাওয়া যায়নি। খাবার সংগ্রহের জন্য এরা বিভিন্ন ধরনের গাছপালার পাশাপাশি ফলমূল, শস্য, গাছের শিকড় পর্যন্ত এরা খেয়ে ফেলে।

Written specially and exclusively by Dr. A. K. M. Nazrul Kabir, Associate Professor, Zoology.

Leave a Reply